গ্রন্থ: আহ্! বাংলাদেশ!
গ্রন্থকার: রহমান জামিল

১৯৯৫ হতে ২০০০ সাল পর্যন্ত পচে যাওয়া আমলাতন্ত্রের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি ঘটনা তুলে আনা হয়েছে আত্মজৈবনিক ঢংয়ে, শুধু কুশিলবদের ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। হেরনি মিলার ও তসলিমা নাসরিনের পর একটি বিস্ফোরক বই নিয়ে এসেছেন রহমান জামিল। সময়কে ধরে রেখেছেন ছত্রে ছত্রে। হাফিজ ছিলো সমুদ্রগামী জাহাজের চীফ অফিসার। তবে তার কোম্পেটেন্সি সার্টিফিকেট ছিলো রাশিয়ার। তাই প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ’তে চাকরি হলো না, সে ছিলো বিট্রিশ সার্টিফিকেট চীফ অফিসার সাতদিন চাকরি করে পালিয়ে গেলেন। কারণ তারা আমলাশ্রের দুর্নীতি পরায়ণ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না । সমুদ্রগামী জাহাজে ছিলো হালাল রুজি মোটা অংকের বেতন। ১৯৯৫ সনের এপ্রিলে সে উপ-পরিচালক হিসেবে বিআইডব্লিউটিএ’তে যোগদান করেন। প্রথমে তার পোস্টিং হয় কমান্ডার হিসেবে বয়া লেয়িং ভেসেল দিশারীতে এবং জাহাজের তেল চুরির ব্যাপারে জড়িয়ে য়ায়। এই চাকরির পূর্বে সে ছিলো ফেরেশতাতুল্য, দস্তয়ফস্কির ইডিয়ট উপন্যাসের মিসকিনের মতো। এখানে ঢুকে সে ধীরে ধীরে ইবলিশে পরিণত হলো। পরে খুলনা অফিসে পোস্টিং হলে প্রশাসনিক কাজে কুখ্যাত এরশাদ শিকদারকে ব্যবহার করতে দ্বিধা করলো না। পরিচয় হলো খুলনা শহরের উঁচু মহলের এক মশহুর মলি শিকান্দরের সঙ্গে। যৌবনে মলি ছিলেন প্যারাগন বিউটি। বন্ধুত্ব হলো কর্মচারী ইউনিয়নের সুদর্শন নেতা শাজাহানের সঙ্গে, তারপর লাল বেসপায় চড়ে চষে বেড়াতে লাগলো সমস্ত শহর। যেন সে বাইশ বছরের যুবক। ইষ্টেশন হেড ঘুরে বেরাচ্ছে কর্মচারীর সঙ্গে, হেড অফিস থেকে আপত্তি আসতে দেরি হলো না, পরিচালক মহোদয় সাবধান করে দিলেন এর পরিণতি ভালো হবে না। তাই হয়েছিলো। কিন্তু কথা হলো পরকীয়া একটা নেশার মতো! মানুষের বিবেক-বোধ সঠিক স্থানে থাকে না। মলির ছোট বোন পলির গলায় ঝুলে পড়লো নির্বাহী প্রকৌশলী একরাম উল্লা, সহকারী পরিচালক হেলাল আটকে পড়লো মংলা বন্দরের কাস্টমসের বড় কর্তার বউ পরমা সুন্দরী কাবেরীর বাহুডোরে । কি নেই এই কাহিনিতে, বলা যায় সল্প সময়ের এক মহাভারত রচনা করেছে রহমান লেখক রহমান জামিল । প্রিয় পাঠক নিষিদ্ধ হবার আগে পড়ে নিন বইটি ।