যাদুর মিছিল
দৃশ্য বদল হতে শুরু হলে ভেঙ্গে যায় ঘাসের নিদ্রা
যে দৃশ্যে এতভোর এতসন্ধ্যা এতরাত এতদিন-
দাপাদাপি করেছে প্রতিবেশি দাঁত,
সীমান্তের শরীরে এঁকেছে হিজিবিজি রক্তের দাগ
কিশোরীর গা থেকে খুলেছে গোপন গন্ধ,
ঘুমন্ত শতাব্দীকে ঢেউয়ের শব্দ শোনাতে
নক্ষত্রদের বাগান বাড়িতে আজ বসেছে যুদ্ধ বৈঠক।
প্রণয়ের গোপন বৃক্ষে টলটলে ব্যথা নিয়ে
কিভাবে নদী ও নারী উদ্যানের গভীরে যাওয়া যায়?
মেঘের শিয়রে ফুটে থাকা বিষ ফুলগুলো
রোদের ডানায় ভর করে অশ্লীল বাতাস ছাড়ে,
স্বপ্নভাঙ্গার শব্দ তোলে ছড়ানো ছিটানো রহস্যের চাবি
কোমল কিশোরের মৌলিক প্রেম হারাতে বসেছে
মায়াবতীর ছড়িয়ে দেয়া মৃত্যুর মহামিছিলে
শৈল্পিক তাবিজ দিয়ে এই ভূমিতে জলের ছন্দ ফিরিয়ে
সুখের পতাকা ওড়াতে বিদ্রোহী বেহালায় সুর তুলতেই হবে…
সবুজ বনের দরজা খুলতে জাগাতে হবে পাখিদের
যারা উজ্জ্বল বিরহেও ব্যাকুল সুশ্রষা দিবে ফুল বনানীর।
ফুটফুটে জল ও যৌথশব্দ
অত:পর জন্মপ্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে গেল অনুবাদ করা আকাশ
যুদ্ধের শব্দদের মই লাগিয়ে পেড়ে আনার সময় হয়েছে বোধহয়।
যার ডানার ওমে উলবোনার পেলবতা থাকে
তার সাথে প্লাবিতজ্যোৎস্নার সখ্যতা হতে পারে
পাঁজরের জমাট বাধা নৈসর্গিক দৃশ্যে প্রথম
ছোঁয়া পড়ে কিশোর অন্ধকারের।
ক্যালেন্ডারের নিস্পলক চোখ চেয়ে আছে
হরিণ শিশুর পায়ের দিকে
যেন দরজার পাশেই শুয়ে আছে পতনের আনন্দ,
শীত আর বসন্তের ফুটফুটে জল উড়ে বেড়ায়
অভিমান ভুলে বিকালের বুক পকেট চষে মৌলিক বর্ষা।
দরজাহীন ঘরে রঙের হাসির সীমায় আছে গুপ্তকুঠুরি
মাটির জরায়ু খুঁড়ে ক্রীড়াময় বিশেষ্য তুলতে
বেসামাল চোখহিন খরস্রোতা ঝরনা প্রস্তুত থাকে।
দেয়াল জুড়ে নোনা দাগ ঝুলে থাকে বাদুড়ের মত
সন্ধ্যা মালতির সে ঘরে আর একঘেয়ে হবে না মিলনরাত্রি।