বিমর্ষ চিঠি
তুমি যা বলার বলে ফেলেছ প্রতিদিনই বলো৷
আমিও জানি,পৃথিবী শুদ্ধ হবেনা কোনোদিন
আজ শীত কম বলে দেখ, কিছু অসফল মানুষ
হেঁটে বেড়াচ্ছে রাস্তায়
আমি শংকিত, কারণ গত দুদিন এমন ভালো কেটেছে
তোমার অমনোযোগে কোনো প্রান্তরে আর বাসা
বাধা হলনা আমার
মৃত গাঙশালিকের পালকে ভরে গেল অসার জীবন
আমিও জানিনা, পৌষের বিকেল থেকে কেন এই
বিমর্ষ চিঠিগুলো আমি কুড়াচ্ছি
যখন আর ব্যথিত হবেনা তুমি
আমিও নির্মিত হইনি ব্যথার জন্যে
তবু এই মর্মস্পর্শী চিঠিগুলো নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে আমি বেরিয়ে পড়ি
তোমার উত্তরই আমাকে প্রশ্নে পৌঁছে দেয়
ক্লান্তি কি বেদনার আশ্রয়?
ভালোবাসা খুঁড়ে খুঁড়ে ক্লান্ত করে দিয়ে গেল খুব!
যাপনের ভুল
তুমি যে প্রাণদন্ড চাও, কেন চাও?
প্রাণ কি আর আছে প্রাণের ভিতর
একটি অপ্রেমী পাথর রেখে কবেইতো চলে গেছ
এখন সমান্তরাল চলে জীবন ও পাথর
এইভাবে কতদিন যায়
তোমাকে ছাড়া জীবন বাঁচে, প্রাণকি বাঁচে?
তাই বিষের গ্লাসে তোমাকে খুঁজি
তুমি আগে প্রতিস্থাপন করো প্রাণ তারপর
ফিরিয়ে দেই ভুল
কত সহজেই প্রাণদণ্ড চাও
প্রাণের অভাবে আমি যে আত্মহত্যাও করতে পারিনা
রক্ত কি পাথরের চেয়েও নীল
আমিতো পাথরের চেয়েও তীব্রতরো নেশায় অনেকদূর
অবধি হেঁটেছি তোমার সংগে
আত্মঘাতি ঝিনুকের মত উপড়ে দিয়েছি চোখ
চোখ কি আর মাছরাঙা
তবু প্রাণের চোখ মাছরাঙার মতই
মাছরাঙা থেকেও পৃথক, প্রাণ থেকেও পৃথক
যেমন জগত থেকে পৃথক এই যাপনের ভুল!