মাটিতে ফলছে মৃত্যু
মাটিতে ফলছে বুলেট,
লোহা গজিয়ে উঠছে মাঠ জুড়ে।
গাছে ধরছে বারুদ ফুল,
তার গন্ধে ঘুম পায় না— পৃথিবীর।
যতবার মাটি চাষ করি
উপরে ওঠে একটা করে মৃতদেহ,
পুরনো যুদ্ধের হাড়,
রক্তাক্ত মানচিত্র।
জল দিয়ে সেচ দিলে উঠে আসে
গলিত শিরদাঁড়া, পঁচা জিভ,
কিছু নাম—
যাদের প্রতিবাদ হারিয়ে গেছে
আকাশের ওপারে।
শেষ হোক।
এই বিস্ফোরণ, এই আগুন, এই হিংসা।
পৃথিবীতে নামুক বৃষ্টি—
ভিজে যাক মানুষের মন,
গলে যাক লোহার বর্ম।
আবার জন্ম নিক একটি শিশু,
বারুদের নয়, বৃষ্টির গন্ধে।
সারসংক্ষেপ: যুদ্ধ, মৃত্যু, পুনরায় যুদ্ধ
যুদ্ধ শেষ হয় না।
শুধু মৃতদেহ বদলায়, পটভূমি পাল্টায়,
অস্ত্রের ধরন আধুনিক হয়।
একটা মৃত্যু থেকে আরেকটা যুদ্ধের জন্ম হয়,
আর প্রতিটি যুদ্ধ আবার নতুন কিছু মৃত্যুর প্রতিশ্রুতি।
শিশুরা বড় হয় যুদ্ধের গল্প শুনে,
তারপর অস্ত্র তুলে নেয়
বেঁচে থাকার জন্য বা মরার জন্য।
মৃত্যুরা জমা হয় রাষ্ট্রের পুরস্কার ঘরে,
আর যুদ্ধ ফিরে আসে, ধীরে, নিঃশব্দে, নতুন নামে।
পুনরাবৃত্তি চলে,
যুদ্ধ–মৃত্যু–যুদ্ধ
এই তিন শব্দই ইতিহাসের আসল ব্যাকরণ।
মৃত সময়
যেখানে ঘড়ির কাঁটা আর এগোয় না,
সেখানে জেগে থাকে মৃত সময়
ভাঙা দরজার আড়ালে,
রক্তশূন্য স্পর্শের নিচে,
নিঃশ্বাসহীন দেহের মতো ভারী।
সেইখানেই হয় এক নির্মম সঙ্গম
ভবিষ্যৎ আর অতীতের,
যেখানে বর্তমান কেবলই অনুপস্থিত,
কেবলই এক কুয়াশাচাপা অস্বীকৃতি।
হৃদয় পান্ডে
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ