১
অতিবাহন
পায়ে দীর্ঘ পথচলার উল্কি
ছুঁয়ে দেখি সেমেটিক রেখা
দুর্ধর্ষ গন্ধ!
চোয়ালের দৃঢ়তায় সুমেরীয় শৈলী
ইউফ্রেতিসের কোল ঘেষে
যে সব ঘাস উদগত হয়েছিলো
তার সবুজতা বুকে ঢেউ তোলে।
ঠোঁটের সেই পবিত্র শব্দ
বর্ণে ছন্দে ছবি আঁকে।
অভিজ্ঞতা ইতিহাস
লেপ্টে আছে ফিনিশিয় অবয়বে।
সভ্যতা,
পৃথিবীর বুক চিরে এফোঁড় ওফোঁড়
পাল তুলে চলেছো এগিয়ে
ধুলো কাদা মেখে
অক্ষরে,জ্ঞানে,শিল্পে
অজ্ঞাত সম্মুখে।
২
আমার ‘ললিত’, আমার পুনশ্চঃ
তখন শেষ প্রহরে যামিনী
ভিজে গেছে ললিত রাগ
চোখের পাতায়।
চৌরাশিয়া মূর্ছনায়
শেষ বেলা।
তুমি এলে অনাহুত
বেদনা ঢেলে
আবার কে কাঁদায়
এই অবেলায়!
দীর্ঘ সন্ন্যাসে কেটে গেছে কতো জল-জোছনা
ডেকে গেছে কুহু
ফেলে মায়া মরিচীকা
তবু ‘প্রেম’,তুমি কেনো কড়া নাড়ো
কেনো ঝড় তোলো একলা শয্যায়
চোখের পাতায়
ললিত রাগে
শেষ মধু বসন্তে!
ডুবে থাকা নিঃসঙ্গ নিমজ্জনে!
আমার শেষ প্রহরের ‘ললিত’
আমার পুনশ্চঃ
৩
আগুনে অবগাহন
মধু সন্ধানে পিঁপড়ের মতো
সন্তর্পণে তোমার নাভি অতিক্রম শেষে
অরণ্যে লুকিয়ে থাকা ঝর্ণায়
স্নান করি পূণ্য
গঙ্গাজলে ও মেলে না
এই পবিত্রতা
কখনো হই দুর্ধর্ষ শিকারী
মৌ পানে
অসংযমী!
নারী,
তোমার চোখের গভীর আহবান
মগজে বুনো মোষ ক্ষ্যাপিয়ে তোলে
নিতম্ব বেয়ে আসা
ভেজা চুল
বুকে ঢালে আগুনের স্রোত
মাতি আগুনে অবগাহনে
দুর্দম প্রনয়োল্লাসে
আমি পোকার রাজ্যে পিঁপড়ে হতে চাই
মনুষ্য রাজ্যে ব্যাধ
আর তোমার রাজ্যে ক্রীতদাস!
৪
এবং গল্প
মহা সড়কের উপরে
তখনও
শবছিন্ন
থ্যাতলানো হৃৎপিণ্ড টি
আশা করছে
বেঁচে যাবে এ যাত্রা
একটি কাক ঠুকরে ঠুকরে
বুঝতে চাইলো
ওর মধ্যে এখনো
কে বসে আছে!
যদি ও সড়ক বিভাজকের উপর
স্বয়ং ঈশ্বর!
অতঃপর
আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে
শেষ শুদ্ধিকরণ স্নান!
হিসাবের খাতায়
বেওয়ারিশ।
সবাই প্রত্যক্ষ করেছে
তাজা খুন লেপ্টে আছে
পুলিশের গাড়ির চাকায়!
পত্রিকায় জমিয়ে এলো
আরেকটি গল্প
সুইসাইড!!
৫
“কবি”
ক্যাপুচিনোর মগে লেপ্টে থাকা
টিস্যুটির মতো চুপিচুপি ঘামছি
স্নিগ্ধ ধোঁয়ায় মিশে যাচ্ছে কবিতার শব্দ,ছন্দ
অবনত চোখ তুলে দেখো না একবার
এ দু’ চোখের প্রেম!
ছাইদানিতে জমছে কবিতার পাহাড়
উঠবে কি তুমি সেই পাহাড় চূড়ায়?
তোমাকে বাধঁবো আমার কাব্যে,সুরে
বাঁধবো প্রচন্ড
রেখাবে নিখাদে
সকল কোমলতায়।
ঐ চারুমুখে মেখো না মেঘের ছায়া
রংধনু মেয়ে একবার চোখে রাখো চোখ
পুড়ে যাচ্ছি নিঃশব্দে।
একবার এই ঠোঁটে রাখো ঠোঁট!