আদিত্য নজরুল – এর দুটি কবিতা

By Published On: May 10, 2021Views: 306

ইন্দ্রজাল

সুঁই সুতো মিলে সম্বন্ধ পেতেছে…
এই সুযোগে দাদীমা
কাঁথার আর্তচিৎকার জোড়া দিয়ে দিয়ে
বুনছেন হস্তশিল্প;
অভিজ্ঞতা ও বয়সে দাদীর হাসি
পালপাড়ার ভাঙ্গা মন্দিরের দ্যুতি ছাড়ায় !

নকশী কাঁথায়
সূর্য উদয়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে
সারাদিন কেটে যেতো…

নদী, গ্রাম, ফুল-পাখি আঁকা নকশী কাঁথার বুকে
এক খন্ড শস্য ভুমি নেই দেখে
মনে পড়ে যেতো পাঠ্য পুস্তকের
বর্গাচাষি গণী মিয়া’র কথা !

সুঁই এবং সুতোর সম্বন্ধ নিয়ে
কোনোই কৌতুহল ছিলো না
শুধু ভাবতাম মানুষের মুখ আঁকেন না কেনো দাদী !

কৌতুহলে একদিন
বলেই ফেললাম
ফুটফুটে মানুষের মুখ আঁকোতো দাদী।

বট বৃক্ষের ছায়ার মতো
ঠান্ডা গলায় বললো দাদী
সহজে মানুষ চেনা যায় না ! -আঁকবো কি করে ?

রহস্য

বুকের ভেতর বাস করে
একটি ধূর্ত শেয়াল এবং একটি বোকা সিংহ..

দৌঁড়ঝাপ দেয় এদিক- ওদিক
গুটি কয়েক খরগোশ
খুঁটে খুঁটে খায় ধৈর্য কয়েকটি চড়ুই পাখি।

বুকের অরণ্যে
পরিপক্ক মৃত্যু ও জীবন মিলেমিশে বাস করে।

হঠাৎ একদিন
পাশের গ্রামের বন থেকে
একটি হরিণী রোদের মতো দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে
সোজা বুকের ভেতর ঢুকে গেলো…

তারপর থেকে
অরণ্য জীবনের কথা আমি কাউকে বলি নি।

0 0 votes
Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments