এই তো গতকাল এসেছিলাম; ধরে নিয়েছো কতকাল পরে- ফিরব আবার!
এমন আস্ফালনের ভীড়ে
ফিরতে পারব কিনা জাহাঙ্গীরনগরে!
কত শত শিক্ষার্থীর মনোবেদনার এই কোভিটকাল!
সে সুদূর শীতের দেশ থেকে আগত এক পাখি
ওকে দেখে মনে হয় স্বভূমিতেই আছে
পথে পথে দেখো।
প্রেমে প্রেমে শিখো দু’কূল প্লাবিত সবুজ অরণ্যের চেয়েও গভীর পাখির চোখ
বল-ব্যাট হাতে দাপিয়েই বেড়াচ্ছিলো
সবখানেই পাখি।
শাড়িতে নারী, কোর্ট-প্যান্টেও পাখি।
আচারে-আদবে, প্রতিবাদে-দ্রোহে অনন্যা, নিষ্ঠাবান এক মেয়ের নাম পাখি।
একবার আমিই ওকে জাতির পিতার গ্রন্থপাঠ-প্রতিযোগিতায় কলম দিয়ে বললাম,
লিখো তো বেটি একখানা রচনা-
অমিত সম্ভাবনাময়ী এই তরুণী বলে উঠলো, ভাইয়া এটা আমার প্রথম রচনা।
আরে বাপ, ব্যাপার না। শুরু করে দাও।
ইংরেজি সাহিত্যের এই মেধাবী তরুণী শুরুতেই বাজিমাত। হ্যাঁ। রুকাইয়া সরকার পাখি।
বুনোবৃষ্টির ঘ্রাণে ও মাতাল হাওয়ায়
ঠোঁটে পুরে নাও এক আঁজলা জল
ফিরে যাও; এই উৎপাদনমুখী বিশ্বের অভিমুখে-
রঞ্জন করো মনোভূমি, শুভ জন্মতিথি