তোমার বাম চোখটি ঘুমাইতে চাইতেছে
জোসেফ স্টালিন নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ঘুম
হায়, ট্রটস্কি এখন প্রলিতারিয়েতের
অন্ডকোষ ছাড়া হারাবার কিছু নাই
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক বলে যারা
প্রেমিকার ঠোঁটকে উপেক্ষা করে
যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তারা দেখতে পেলেন
যুদ্ধের মাঠে কেউ নেই কিছু নেই
কতগুলো গাধা ইতিহাসের পথ আগলে বসে আছে
আমি তুমি তুই কেমন করে পার হই সত্যদাহ বন?
প্রচুর কান্নাকাটি সম্পন্ন হয়েছে
প্রচুর আগুন জ্বালানো হয়েছে
তবু শিশুগুলো জন্মাতেই রাজি হচ্ছে না
মা চাচ্ছেন, বাবা চাচ্ছেন, ডাক্তার সিজার করতে তৈরি
রক্ত মাটি হতে চাচ্ছে না
অনিদ্র, তোমার বাম চোখটি ঘুমাইতে চাইতেছে
ডান চোখটি জেগে আছে!
আসেন, পাখিটাকে ধরে ফেলি!
খাঁচার ভেতর পাখিটা কেমনে আসে যায়
ত্রিশ হাজার বছর ধরে দেখা হয়েছে
আসেন এবার পাখিটাকে ধরে ফেলি!
নো প্রতারণা! নো ভেল্কিভাজি
সার্কাস-টার্কাস
শিকার বা অশীকার
স্বীকার বা অস্বীকার
পাখিটাকে ডিস্ট্রার্ব না করে বলি
রে পাখি তুই হয়ে যা আমি
আমি হয়ে যাই তুই
চল সীমিত খাঁচায় অসীম প্রণয়ে নিকা করি
প্রাপ্তি সংবাদ
বলো, কতভাবে আমি আর তোমার রূপবর্ণনা করে যাব!
অন্ধকারের সাথে তুলনা দিলে
আলো উপহাস করে
রংধনু বললে লোকে বোঝে অন্যকিছু
চাঁদ বললে তরুণ কবি হাসে
শত শত মরা উপমা দিয়ে আমি কেন
হাসির পাত্র হবো?
আমি তাই
সহজ করে এ কথাটা বলে যেতে চাই
তোমার শরীরে আমি
আমার আত্মাটাকে খুঁজে পেতে চাই।
আর গুঁজে দিতে চাই
প্রেমের পাশে
কিছুটা সময় অন্যকাজে,
কিছুটা সময় বড় বাজে
কাটাই। কী পাই?—ছাই!
নদীর কাছে যাই
মাছের কাছে শুনি
প্রেমের পাশে বাস করে
বারো রকম খুনি!
তবুও একটা পাতা নড়ে ওঠে লাজুক বাতাসে;
একটা সকাল ফোকলা দাঁতে মিষ্টি করে হাসে!
যেন শূন্যতা তোমার স্ত্রী
ভালোবাসো শূন্যতা আবার তাতে চাষ করো ভালোবাসা
গর্ভবতী হয় পৃথিবী। জেগে থাকে নাবিক, ভাঙা জাহাজ ও আশা!
কতটা দূরে থাকে বাতিঘর, বাড়ায় হাত, নাড়ায় সাঁকো
শহরের সব বাতি নিভে গেলেও কে তুমি জেগে থাকো?
প্রাণের মোয়াজ্জিন ধর্মজনের হজরে আসওয়াত
রোদেরা ঘুরঘুর করে নিরিবিলি ঘুম যায় রাত
সব শোরগোল থেমে যায়, মগ্ন চর, দূরে টর্চ লাইটের আলো
যেন শূন্যতা তোমার স্ত্রী, আমিন ভেতরের শূন্যতা আরেকটু জ্বালো!