দু’টি কবিতা –
ম ধু মি তা বে তা ল
১.
আগুনের জন্য ভিক্ষা
হিমপ্রাচীরের নীল সুরকিতে
লুকিয়ে নেব কবর,
হাজার পশলা বৃষ্টি নেমেও
পাবে না আমার খবর।
দীপের কোলে সলতে ঠেলে
জাগিয়ে রেখো পলক,
মরণ যেন বাঁচার মতোই
জ্বালিয়ে রাখে আলোক।
চিতার তাপে কবর তাতে
পুড়িয়ে মাটির যন্ত্রণা,
মরগে পচা বেওয়ারিশ প্রাণে
চুল্লি শেখায় মন্ত্রণা।
কোন জনা যে আপনজনা
চেনাতে বড়োই দুর্বলতা,
বুক পেতে বজ্র ধরেও
নিটোল মাটির সরলতা।
২.
গর্ভাশ্রয়
সন্ধে নামলেই কালসিটে মেঘগুলো
আলোর সামনে এগিয়ে আসে,
চোখের থেকে সৌন্দর্য তখন
প্রাচীন পলেস্তারার মতন
খসে পড়ে অপেক্ষার গৃহগর্ভে।
বেসামাল নদীহীন দৃষ্টি পথের
পারাবার-সেতু সন্ধান করতে করতে
গরল পুষে রাখি নীল কণ্ঠগর্ভের অতলে,
পালিত করি অন্তিম সুখ।
হাজার মাইল অপেক্ষা ছড়িয়ে
রাখার পরেও রক্তহীন শিরাপথ জুড়ে
অনিশ্চয়তাদের অপার ভীড়।
না-ছাই-হওয়া নাভিমূল
তৃষ্ণার্থ চাতকের মতোই নদীর
খোঁজে আশ্রয় নেয় কলসগর্ভে।