ক্যালেন্ডারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়
প্রত্ন-বাতাস পৃথিবী খাবলে খেলে
অনাগত অতিথি অভ্যর্থনার প্রস্তুতির মতো প্রযত্নে থাকতে হবে আমাদের। এবং
কবিতা সুলভ পেলবতা অব্যর্থ দাওয়াই। যদিও
অঙ্কুশ মুদ্রার কাছে তর্জনী পরাজিত।
আমরা পদ্য লিখবো ভেবে
চর্চা করি আনাড়ি অক্ষর। বর্ণ অপেক্ষা ধ্বনি
ধ্বনাত্বক হয়ে গেলো; কাজে কাজে হাত
আরোধিক কালাপাহাড়।
দুপুরের রৌদ্রের মতো বিষণ্নতায় মুখ গুঁজে
শুয়ে আছে ঘড়ি। দড়িতে গ্রন্থি আটছে
জেনো কেউ,
শীতলপাটির শীতলতা পেতে গিয়ে
টেপা পুতুল সর্বস্ব হারাই।
অঙ্কুরিত অনুভূতিগুলো ছন্নছাড়া,
অপরিবাহী এবং প্রতিসরণগ্রস্ত। কার্যত
অচল ও আয়ুর্বেদিক। দিকজ্ঞান শূন্য হয়ে
দশমিক শরীরে সূর্যটা ঘুরেই চলেছে।