গুচ্ছ কবিতা – জাহিদ সোহাগ
১. তুমি একা
আলো তুমি একা। আরো আরো সূর্য গড়িয়ে পড়ো
আমাদের এই ঘুঘু গ্রামে, তবু তুমি পৌঁছোনি;
এত দীর্ঘ পথ তোমাকে জল ও খুদকুঁড়ো বেঁধে দেই,
দেই মোঁষের গাড়ি।
তোমাকে গৃহস্থে না পেয়ে কোথাও
আকাশ দেখি লাল হতে
২. দীর্ঘ পিঠের সাথে
রাত আর নদী একসাথে শুরু হলো। পরস্পর
শরীর মনে করে এই যাত্রা
কিছুটা চাঁদ নিয়ে সাপের এমন দীর্ঘ পিঠে
আমি নির্ঘুম
জাহাজের ডেকে
নিখোঁজ সংবাদ পড়ি আর ভাবি
খুনিরা এখনো হলো না পেশাদার
৩. বাঁচার মদ
গনগনে কড়াই নামছে। লাল ঝোল, বড় বড় মাছের টুকরো
আর সাদা ভাত নিয়ে বসে পড়ব
যেহেতু ভেড়াদের পিঠ দেখতে পাব
তার আগেই পাকস্থলিভর্তি করি বাঁচার মদ
আমার সামনে আরো দুটো ভাঁড় বসতে পারে
তাদের সার্কাসে আলো জ্বলতে এখনো দেরি
বাঘ ও অন্যরা বেঁচে যাবে, এই ভরসা
৪. কখনো এমন হলে
পূর্বাপর কিছু নেই। নেমেছ বৃষ্টির পথ ধরে
শহর সহজ নয়, ঘাসডোবা মাঠের মতোই লুকিয়েছে জিভ, লিঙ্গ
তোমার সর্বাঙ্গ, শাড়ি, বৃষ্টির সুগন্ধি নিয়ে এলো
তবুও দাঁড়াতে হয় গৃহধারাজলে, যেন বৃষ্টি নয়, নিরীহ রমন
৫. আরো একটি কবিতা
তরল রোদ্দুর পেয়ে গান গায় পাখি
তাকে বলি আজো আছে মৌন অভিপ্রায়
ফুটুক ফুটুক ফুল জটিল বাগানে
কামশাস্ত্র বন্ধ করে মন দেই জ্যোতিষচর্চায়
কিছু না বলেও ডুবে আছি বহু কথার ফেনায়
দু’দণ্ড নিজেকে মেলে দেখি
উধাও হয়েছে দিনরাত্রি
অগ্নি তুমি, সখা তুমি, তোমাকে বাসনা করি, যথেচ্ছ বাঁচার মানে পেয়ে
নারীদের কলহাস্য আর সংগমনির্ভর জন্মের ভেতর গান কিছু
রাত্রি, রাত্রি তুমি একা হও
দিগ্বিদিক ছুটছে পশুপাল
তরল রোদ্দুর পেয়ে গান গায় অন্ধ
পাখিরা কোথাও নেই বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি