বাঘের দাঁতের মিনার একেকটা মানুষ
তুমি তো ঘুমের যাদুঘর। সকল রকম ঘুম তোমার ভেতর জমিয়ে রেখে
জেগে বসে আছ। আমাকে ঘুম দান কর, অনন্ত ঘুমের চুম আমার
চোখের ভেতর হৃদয়ের ভেতর দাও।
জেগে থাকা আমার সাথে মাতব্বরি করে। আমার বুকের উপর পা রেখে
উদ্দাম নৃত্যু করে। আমি পারি না। আমি বুকের ব্যথার আঘাতে গুড়া
গুড়া হয়ে পড়ছি।
এখানে তো বাঘের দাঁত। বাঘের দাঁতের মিনার একেকটা মানুষ।
জীবন্ত মিনার
যোগকুলে বিয়োগকুলে বাস
বুঝে নিয়েছি ঘুম আর আসবে না কোনোদিন। ঘুমের ভেতর মাদুর
বিছিয়ে ঘুমিয়ে গেছে প্রাণ। তাই ঘুম আসবে না।
কলম আছে খাতা নাই। তবে কী হলো? বীজগণিতের পাতা উল্টে
ফেলো। সুদকষা, ঐকিক চলিত নিয়মের অংকেরও প্রয়োজন নাই।
শিখতে হবে যোগ বিয়োগ।
ঘুমুতে যেতে হয় পা ধুয়ে। ঘুম আসে না। আমগাছের মটকায় চুপ
করে ঘুম শুয়ে থাকে। শিশুপাখির চোখ। সোনার মানুষ হলে ছিনিয়ে
আনতাম বিশাল ঘুম নিজ চোখে পরার জন্য।
বেশ কিছুদিন পার হলো, তোমার দেখা নাই। তুমি কেমন বলত?
তোমাকে খুঁজে সার হলো লালন, তার তরী নিয়ে। তুমি না এলে
পারতো হওয়া যাবে না।