লজ্জা দিবস
কখন যে নিষিদ্ধ হলো ডানার ঝাপট
বুঝলাম কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া দেখে।
ঘোমটা অথবা বোরখা ঢাকা বিদ্রুপের
নিচে টুকরো টুকরো নারী পুষে রাখি
খুব সাবধানে ও যতনে, দীর্ঘ হাইফেন
টেনে অবিন্যস্ত আগুনের নদী এঁকে
উত্তাপের পাড়ে দাঁড়িয়ে শেকলে বাঁধা
শঙ্খচিলের প্রাণপণ ওড়া দেখি।
পরিবর্তন অথবা প্রত্যাখ্যানী পোশাক
নিঃশব্দে কোতোল করে কচি কচি ভ্রূণ।
আমি বুঝতে পারি ঘুমিয়ে গেলে
উপোষ-বস্তির ধোঁয়ামাখা কংক্রিট
থেকে রাত্রিগুলো লোমশ পায়ে ঘেঁটে
যায় আমার স্বপ্নের পলেস্তারা।
প্রতিটি সকাল দেওয়ালের গায়ে একটা
করে ক্রুশবিদ্ধ তারিখ ঝুলিয়ে মনে
করিয়ে দেয় আজ আমার লজ্জা দিবস।
জাত জোৎস্না
শুদ্ধিকরণে মেতে নষ্ট করে ফেলি
জীবনের অনেক পবিত্র সময়।
চৌকাঠ পেরোলেই দেখি জোৎস্না
নাইয়ে দেয় শ্মশান ও কবরের গা,
তুলশীতলার প্রদীপেও ছুঁয়ে থাকে
চাঁদের জাত।
বাতাসের গল্পসমগ্র থেকে ফুসফুস
ছেঁকে তুলি কাঁটা চামচের আঁচড়ে।
স্বার্থহীন জল্পনার আড়ালে গিয়ে
কখনও নিজের আতিথেয়তায়
খুঁজলাম না অনেক কিছুর সাথে
নিঃস্বার্থের রাত।
মধুমিতা বেতাল
কবি, সম্পাদক