মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর-এর কবিতা

By Published On: March 25, 2023Views: 327

শরাহত স্বপ্ন

রজনীর শেষপ্রহরে অপরাজেয় বাংলার চোখে অশ্রু ঝরে। প্রতিদিন। কেউ কেউ দ্যাখে।
একদিন শুধোই আমি,’কাঁদছো কেন?’ সমস্বরে হাহাকার করে, ‘কাঁদার কি নেই কোন কারণ! শুধু শুধু রক্ত ঝরেছে, স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা …’

মুক্তির স্বাদ

হ্যাক হয়ে যাওয়া আমি দোল খাচ্ছি ঈশ্বরের ছেলেখেলার আনন্দমার্গে। বিভ্রান্ত শ্লোকগুলোর চালশে হওয়া চোখ ঈর্ষান্বিত আজ, বিষণ্ণ মর্মরে ঢেকে ফেলতে চায় আমার কবিতার অবয়ব।
সময়ের উল্টোরথে বিগব্যাংপূর্ব জীবনে ঋতুবতী মুক্তির স্বাদ আমি পেয়েছি; আর সেই সাথে অলৌকিক নিঃসঙ্গতাও।

পুলসিরাত

অবসরে সরু পথটি চোখে পড়ে। এবড়ো-থেবড়ো নিকষ কালো। নিজের ছায়াটি কি দেখা যাবে! তবু হাতছানিতে ডাকে …

পয়গম্বর বলতেন পুলসিরাত। সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় বসে আছে আমার আমি। সবাই পারে না, কদাচিৎ কেউ ছুঁতে পারে।

নিপাতনে সিদ্ধ

আনন্দ রেতঃপাতই শেষ কথা নয়, শুরু হয়ে যায় সম্ভাবনার হিশেব-নিকেশ। টু বি অর নট টু বি – দোল খাবে কি ঝুমকো ভ্রুণ!

পাতায় পাতায় খুঁজে চলি কার্যকারণ সূত্র, নিয়মনিষ্ঠ ব্যাকরণে ঈশ্বর হাঁটেন। ব্যাকরণেও রয়ে গেছে ফাঁক, নিপাতনে সিদ্ধে কত কী যে হয়! যেমন আমি, আমার অভ্যুদয়।

চোখের জল

কোথায় চোখের জল? আমি তো দেখছি দু’গাল বেয়ে ঝরছে শুধু বিষণ্ণ কবিতা।

কী অভিমানেই না সেদিন চাঁদ ঝরিয়েছিল কষ্ট কষ্ট নীল আলো। আমি জানি সে কথা। অভিমানী কবিতা তোমার শুধুই কি ভিজিয়েছে দোপাট্টা! আমিও কি ভিজিনি!

খুঁজছো আমায়? আরশিতে মুখ দ্যাখো। তোমার দুঃখজলে দ্রবীভূত আমি কবিতা হয়ে কী কষ্টেই না পড়ছি ঝরে!

Share:
0 0 votes
Rating
Subscribe
Notify of
guest

1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

Nandik Shop