চিৎকার
জুতো সেলাই করতো আমার বাবা; এখন আমি
প্রতিদিন হৃদয় সেলাই করি। ক্ষতস্থানে লাগিয়ে
দেই অবহেলার প্রলেপ―! আমার হৃদয়ের ক্ষতে
বাসা বাঁধে হৃদয়কাটা পোকা―
কতদূর তোমার দেশ? কোন নদীপাড়ে তুমি শুকাও
শাড়ি–? কোন ঘরে এলিয়ে দাও কেশ? তুমি তো
পাহাড় নও, তবুও তোমার নামের ওজন–আমার
বুকে পাহাড়ের চেয়েও ভারী―
তোমার পাড়ায় যাইনা আর; সেখানে আকাশ কেমন
গাঢ় নীল। বায়ুভীত পাখিরা ঘরে ফিরে মালতিসন্ধ্যায়;
আর আকাশের গায়ে গায়ে লেখা থাকে তোমাকে না
পাওয়ার দলিল―
সুমিত্রা― তোমার নীরবতাই পৃথিবীর দীর্ঘতম চিৎকার
শীতরাত্রি; মৈথুনবিরহ
জলের শব্দ; পাশাপাশি দুটি দেহ; উষ্ণসুগন্ধি
গোলাকার হাওয়া―জানালার ওপারে পাতায়
পাতায় তুমুল ইশকের গান। তীব্র শীতরাত্রিতে
জাফরানমাখা হাওয়া―আধো আলো; আধো
নীল; মৈথুনবিরহকাল, খোলা আদিদেহপুরাণ।
শীতরাত্রি; জড়োসড়ো খোয়াব; ভুল পাঠরীতি
আবলুস অন্ধকারে; একা; ―এক বন্দি হরিণী
বৃষ্টি ঝরে পাখির গানের মতো; দুয়ারে দাঁড়িয়ে
ছিল মালতির ফুল; আছড়ে পড়ি তার বুকের
গভীরে―যেভাবে ভেঙে পড়ে নদীর দু―কূল