সকল গৃহকিলোমিটারের নিয়মে রাখি আয়ুকাল
না পাওয়ায় হ’য়েছি অধিক সময় অভ্যস্ত—
বলা বাহুল্য, কখনও ছিলাম না কুকুরের গণতন্ত্র চেয়ে;
শনাক্ত, ভ্রম—কোথায় আজ তীব্র আত্মার জলদৈর্ঘ্য
সংকেত—কতটা পাশ্ববর্তী করে
মৃদু জন্মসূত্রের প্রবেশে যায় আপেল উচ্চতার রক্তরস
শস্যবন ছিঁড়ে ছিঁড়ে যারা আজ বাঁশিটা খুঁজেছে
তাদের পলাতক ফুসফুসে আমি অতিলৌকিক নই একজন
বদলে ফেলেছি সুর, সম্পূর্ণ দশকব্যাধি
তোমরা দ্যাখো গুরুবাক্য ছেড়ে তবুও করি নাই
জন্মান্ধের বাতাসবিরোধী যত অভাবী স্লো-গান
কবিতা দিবস নয় তো আজ
গৃহকিলোমিটারের বীর্যে রাখি পৌরাণিক হাতির ভাদ্রমাস
থাকে স্বভাব—লালটিলা বর্ডারের সমান; কে যেন ডাকে
উদ্দেশ্যের হরিয়াল, —যাহা শাদা
অপেক্ষার হেতু পেরিয়ে জেব্রাক্রসিংসহ মরুভূমির ভাগফলে
অথচ সমগ্রতা নিকটে আসে ধীর ঈশ্বরের পায়ে—
মৃত্যুর হয় ক্ষয়—কর্দমাক্ত বিভা জুড়ে আরো—;
যা-যা পেয়েছি শনিগ্রহে ব্যবহৃত আয়ুরে ইস্তেহার, আজ যদি
তোমরা লিখিতপৃষ্টা হও—ব্যাখ্যা করবো না ছাতিমের সংলাপ
প্রস্থান কোনো চূড়ান্ত হওয়া বিদ্যুৎ চমকানো অব্যয়পাখির পাশে
ঊর্ধ্বপতন
ফিরি নাই সুনামের সরঞ্জামে
যে তুমি জন্মগত
চড়ুইদের যৌবন—
নিখুঁত থাকো দীপ্ত, দ্রোহ এবং বৃক্ষ বাকে্র—
প্রশ্ন তবে করি—আমি একা একদিনের লোক;
কাদায় যতটুকু বিদ্যমান নিকটের আসা-যাওয়া জ্ঞান
পোড়ানোর ইঙ্গিতে যারা রাশি রাশি গোলাকার
সাতাইশ কি ঊনত্রিশের অভাবগ্রস্থকে রাখে আলাপে,
এর হতে ও’ঠে ঠান্ডা কারাগার আসন্ন
সত্ত্বেও কালোঋতু—
সুমেরু সতর্ক করে বহুমূত্র রোগে—;
নরম আজ মরণ বিকেলের বর্ণমালা নদীর কাছে…
বিড়ালভূমির টিফিনপিরিয়ডে হত্যা করেছি জনপথ
নিঃকণ্ঠ চিড়িয়াখানা থেকে ক্ষুদ্র-বৃহৎ যত সমীকরণ—
যদি দাও চিহ্নিত বাসকপাতার প্রত্যহ দেহবিন্যাস
আমি সংকলিত উপকোণে রাখি পারস্পরিক অত্যাচার
এবং পার্থক্যের নৈঃশব্দ্য।
ভুলে তবুও নই আমি
শেষ কোনো প্রতিরক্ষার বাগান মেপে
এখন যাত্রার সব-কিছু হারিয়ে জ্বালাই প্রতিষেধক পদ্ধতি…
পাপড়ির সবুজ কত কি করেছি তীর্যক সকালের সূর্যদেব
অথবা পরিচিত সন্তানের যকৃত বা হৃদপিণ্ড বিজারিত করে।
এমন মথ ও টানাটানি তুলার সমর্থ—
চুলের ধূসর আঁচে
করেছো হাসিল ক্ষমতার তুমুল হেমন্ত;
দ্বারে যাও হাওর গুঞ্জন—পায়ের সূচনা, আমি দ্রুত ঊর্ধ্বপতন
এসো প্রাণে, কা’কে মুগ্ধ করে সকল রক্তিম জবার নিমিষেই—
চুপ থাকার মতো আলো
তোমার স্বাদ থেকে দূরে যাচ্ছে শাঁখা ও সিঁদুরের আলো
আমি কি পেরেছিলাম দরদির নির্জন অনুমতি
বাহুভর্তি হাসপাতাল—ফোটে মুখস্ত নার্সফুল
বেশি তো নয়, ফার্মেসি আর প্রেসক্রিপশনের রাতে;
এখন বাড়ি যাবো—আন্তঃনগর রেলগাড়ি
ঠিক দ্বিধা বপন করা চুপ থাকার মতো—;
কেন তোমার ক্ষয়িষ্ণু মীন পোড়ে সাঁতারবাহী লাশে,
রূপছায়া দ্যাখাও যদি সুঁই-সুতার ইশারায়
অন্তত দু’শ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জুতার গন্তব্যে
আজ যা-কিছু নিঃশ্বাস—মিথ্যার সহপাঠে চিরস্থায়ী
ভেঙে যাওয়া সে-দিনের কানাবক যত—জানতে চাইবে না
তোমার সহজ নদীর বনজুড়ে নিদারুণ দেহঘড়ির বিরহ
কেউ কি অচেনা আমরা হরিণের শাদা শার্ট পড়ে?
নিঃসঙ্গতা চিরকাল একা! যেন শনশন বাতাসে কাঁপে
বুদ্ধ নারকেল, শীতের আগে কুয়াশার কম্পাসে শাঁখারিবাজার
তুমি শিখাও বাষ্প—গ্রীবার থেকে দুধরাজ সাপের অধিকারে
আমি তবে ডানার নিহত সরীসৃপ, রিলিজের উচ্চারণ মেপে
অলস ব্রিজে অহেতুক যাচ্ছি ইদানীং—;
স্পর্শ ডাকবে প্রেমে সংরক্ষিত লালবাস : অতঃপর ট্রাংকরোড নিশান