খুলে উঠি তৃষ্ণার্ত আঙুল স্নানঘর
স্নাণ শেষে তুমি শুভ্র রাঁজহাস
উষ্ণায়নে খুলে দাও অলৌকিক
শাওয়ার, জল ভেঁজা বসনে
উল্টানো সোনার কলশের মতো নিতম্ব
খোলা পিঠে পালকৌড়ি ক্যানভাস।
কোন মোহনায় যেন নদী
তোমার মানচিত্রের নোনা সুবাস
ঠোঁটে মেখে পাখি হই, পারীযায়ী রাতে
জোঁড়া চাঁদ উপত্যকায় রূপকথা
কুড়াঁই আর রাজনীগন্ধার মতো তুমি
মাতাল করো নিজস্ব ঘ্রাণে।
২
তুমি পালক খুলে দাও, ঝুম বৃষ্টি নামুক
উষ্ণ মাংস ও মর্মে, ঝরে ঝরে পরুক
যতটুকো সঞ্চয় আমার যেটুকো মাধুর্য।
কোমর বরাবর বজ্র ফলা আলো রশ্মী
মতো উজ্জ্বল জল ফোয়ারা, গোলগাল
দীঘিটার তীর ঘেষে লাবন্যময় নগর
বজ্রযোগিনী মন্দির- তৃষ্ণার্ত আদিম
মানুষের পথ ধরে ক্রমে নিচে নেমে আসি
দু’পা মেলে তুমি লিখে দাও অপূর্ব নদী
সূর্যাস্তের গোলাপি আভায় জেগে ওঠে
দীর্ঘ ধ্যানরত একান্ত বুদ্ধ আমার।
৩
কি অপূর্ব মহিমায় তুমি ঝড় তোল কালিদহে
আমার আঙুল আর ঠোঁট উড়াও অন্ধ ঈগলের
তীক্ষ্ণতায়। অনিন্দ্য ভূগোল খুলে দাও ডানার
তলে, ঠোঁট কখনো পাহাড়ে কিংবা সমতলে
তোমার। শীৎকারে চিৎকারে বাজাও অর্কেস্ট্রা
বাতাসে বাতাসে ঢেউ ওঠে তুমুল-
ওষ্ঠ থেকে স্তন, নাভি থেকে জরায়ু
মাংসল নিতম্বে খাঁজে ভাঁজে নোনতা
ফুলের অরণ্য, ডুবে যেতে যেতে কেঁটে দেই পাল
আমার সপ্তডিঙা ডুবাও হে অফ্রোদিতি ডুবাও
আমাও তোমার নান্দনিক নাভীমূলে।
৪
চাঁদ ডুবছে কন্যাকুমারীর জলে-
সোমারক ঠোঁটে তুমি নিসর্গ পুস্তক
যেন কোন প্রাচীন পাঠশালা
সোঁধাগন্ধী পান্ডুলিপির স্তুপ
তক্ষশীলা ভূলে পাঠ নেই
তোমার নাভীমূলে-
শুভ্র ময়ূরের ভরতনাট্যম
স্তণবৃত্তে তোমার মঠচূড়ার কারুকার্য
ইমনের রাগে খুলে দাও শাড়ি
সমুদ্রের নুনজল স্বাদে নোঙর তুলি
ইশারায় ডেকে নাও গভীরে, আরো নিবিড়ে।
৫
ভোর আসে বিভাবরী বিভাবরী স্বপ্নে
তুমি স্নানঘরে রেখে মেখে দাও শরীরের
নিপুণ অঘ্রাণ, শাওয়ারে শ্রাবনের গান
ক্লান্ত রাত্রি শেষে জেগে ওঠে আবার
অথাবা জাগিয়ে দাও বুকের নিটোল
জ্যোৎস্নায়। অদ্ভূত ঘোরে তোমারে চাই
যেন স্বর্গ শহর, অজস্র জলধারায়
ভেসে যাই তোমার ভেতর, নিতম্ব ভাঁজে
মাধুর্য বাঁধ, তৈলচিত্রের মগ্নতায়
ঈশ্বর লিখে দিয়েছেন অপূর্ব আলো
ছোট ছোট ঢেউ অলকানন্দার মতো
নাভি থেকে নেমে আসছে নন্দনের দিকে
তোমার স্তনাগ্রে মৃদু দাঁত বসালে
বেজে ওঠে শীৎকারের আলৌকিক সেঁতার
আর মিথুনমগ্ন আঙুল ভেঙে
উড়ে যায় দেড় লক্ষ প্রজাপতি…
৬
তার আঁচল খসে পড়লে সমুদ্র জন্ম নেয়
নীল ঢেউ ঝড়ের রাত গোলগাল চাঁদ
বাতাসে শো শো তবু নাবিক মন
গভীরে যেতে চায় আরো গভীরে
মৌসুমি বায়ূতে শুভ্র পাল তুললে
নেশা জমে ওঠে তোমার স্তণযুগলে
আদিবাসী মদের মতো ঘোর আর ঘ্রাণ
বিভোরতায় বৈঠার শব্দ আর জলে জলে
তোমার পিয়ানো শীৎকার, আরো গভীরে
যাও নাবিক আরো গ ভী র এ…