ইন্দ্রজাল
সুঁই সুতো মিলে সম্বন্ধ পেতেছে…
এই সুযোগে দাদীমা
কাঁথার আর্তচিৎকার জোড়া দিয়ে দিয়ে
বুনছেন হস্তশিল্প;
অভিজ্ঞতা ও বয়সে দাদীর হাসি
পালপাড়ার ভাঙ্গা মন্দিরের দ্যুতি ছাড়ায় !
নকশী কাঁথায়
সূর্য উদয়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে
সারাদিন কেটে যেতো…
নদী, গ্রাম, ফুল-পাখি আঁকা নকশী কাঁথার বুকে
এক খন্ড শস্য ভুমি নেই দেখে
মনে পড়ে যেতো পাঠ্য পুস্তকের
বর্গাচাষি গণী মিয়া’র কথা !
সুঁই এবং সুতোর সম্বন্ধ নিয়ে
কোনোই কৌতুহল ছিলো না
শুধু ভাবতাম মানুষের মুখ আঁকেন না কেনো দাদী !
কৌতুহলে একদিন
বলেই ফেললাম
ফুটফুটে মানুষের মুখ আঁকোতো দাদী।
বট বৃক্ষের ছায়ার মতো
ঠান্ডা গলায় বললো দাদী
সহজে মানুষ চেনা যায় না ! -আঁকবো কি করে ?
রহস্য
বুকের ভেতর বাস করে
একটি ধূর্ত শেয়াল এবং একটি বোকা সিংহ..
দৌঁড়ঝাপ দেয় এদিক- ওদিক
গুটি কয়েক খরগোশ
খুঁটে খুঁটে খায় ধৈর্য কয়েকটি চড়ুই পাখি।
বুকের অরণ্যে
পরিপক্ক মৃত্যু ও জীবন মিলেমিশে বাস করে।
হঠাৎ একদিন
পাশের গ্রামের বন থেকে
একটি হরিণী রোদের মতো দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে
সোজা বুকের ভেতর ঢুকে গেলো…
তারপর থেকে
অরণ্য জীবনের কথা আমি কাউকে বলি নি।