স্নানঘরে লবণাক্ত তুমি নড়োচড়ো
যে সমুদ্র ঢেউ হয়ে পায়ে চুমো দিতো
সে কোথায় চলে গেছে, আর আসেনি তো!
এটুকু প্রত্যাশা ছিল, এর বেশি নয়?
কতটুকু আর্দ্র হলে তবে তা প্রণয়?
সে আর্দ্রতা পা থেকে তো শিরায় শিরায়
মস্তিষ্কের কেন্দ্রে গেলে কে তাকে ফিরায়?
গিয়েছে সর্বত্র এই জৈব শরীরের
ছড়িয়ে পড়েছে গৃহে, আমি পাই টের।
ড্রয়িংরুমে এসে বসে থাকে চুপচাপ
সোফাসেটে সমুদ্রিত সেই জলছাপ
রান্নাঘরে মশলার মিশ্রিত সুঘ্রাণ
তাতে যে আর্দ্রতা মেশে, এ তো তারই দান!
স্নানঘরে লবণাক্ত তুমি নড়োচড়ো
তুমিই ভূগোল ছেড়ে সর্বস্বান্ত করো।
যতোটুকু ভাবা যায় তারও অধিক
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক দায়
বিশ্ব রাজনীতি এসে তার সাথে মেশে
ভাইরাস চায় লাশ, লালসাও তাই
এখন তো সবকিছু এতে গছে ফেঁসে।
অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যায়, ফায়ার সার্ভিস
দুজনার দুটি পথ বাঁচাতে জীবন
মাঝপথে বুকচেরা শুনি সাইরেন
কুণ্ঠিত ও সঙ্কুচিত মানুষের মন।
তালগোল পাকিয়েছে সবকিছু আজ
উদ্ভ্রান্ত লোকজন ছোটে দিগ্বিদিক
কবরের গর্ত আর চিতার আগুন
যতোটুকু ভাবা যায় তারও অধিক
এর মধ্যে লোকজন মাতে লুটপাটে
ভুলে গেছে মৃত্যু উঁকি দিচ্ছে চৌকাঠে।