ন্যূন
চাঁদের সাথে আদর
১
আলো কতটা কালো হলে আমি তা আঁধার বলবো,
আমিতো আঁধারেও দেখতে পাই,
সে তাহলে কোন আধার?
যে আঁধারে আমি দেখতে পাই,
আমিতো আঁধারেতে আঁধার দেখতে পাই;
আমি এক ক্ষণে, চাঁদকে বলেছিলাম তোমার আঘাত নিয়ে আমি ভাবি। বলতে পারো আমি তোমার আঘাত আবিস্কারক কিন্তু সৃষ্টিকারক নই। এইযে, সূর্য তোমাতে তার উত্তপ্ত তাপ লেপে দেয় তোমার কষ্ট হয় না। তোমার গায়ে এতো যে ক্ষত তোমার ব্যথা হয় না। নিশ্চয় তুমি অনেক আঘাত লুকিয়ে রেখেছো?; তুমি যে আঁধার মেখে থাকো তোমার খুব ডর করে আমি জানি। আমি তো দেখতে পাই তোমার গায়ের একদিক কখনো আলোকিত হয় না। আমি ভাবছি তোমাকে আলিঙ্গন করে আলোকিত করি।
কিন্তু কিভাবে!
কে এই আমি?
-যে তোমাকে আলিঙ্গন করতে চাচ্ছি। যে আমি তোমাকে ভয় থেকে উদ্ধার করতে চাচ্ছি সে আমি তোমাকে ভয় দেখাচ্ছি ; যে তুমি খুব আঘাতে আছো, যার জন্য তুমি আলো ছড়াতে পারো সেই তাকেই আমি!-নাহ।
আবার যে আঘাতের কারণে তোমাতে এতো রং সেই আঘাতকেই বলছি যন্ত্রনা ! আবার যে আলোর তোমার কোনো প্রয়োজন নেই সে আলোর প্রলোভন তোমাকে দেখাচ্ছি।
না ; তুমি কেন আমাতে নিয়োজিত হবে, আমিতো কিছুই না।
আমি তো কেউ বা কিছু নই, যে তোমাকে ছোব। আমি তো ক্ষুদ্র। না আমি বিশাল না আমি বিশালতর। না আমি কোনো অতি উজ্জ্বল নক্ষত্র, যে আমি তোমাকে আলোর ইশারা দিতে পারবো। তাহলে কেন আমি তোমাকে আঘাত চেনাব। যদি আমি হতাম অন্য কোনো সৌরজগতের বিশাল এক নক্ষত্র যে বহুদূর থেকে তোমাকে ছুতে চাই অথবা শান্ত আলো ছড়িয়ে তোমার আঁধার দিক আলো করছি। যদি হতাম তোমার থেকে অতি বড় কোনো নক্ষত্র অথবা তোমার থেকে কিছুটা ছোট বা অতি ছোট। তবুও তো তোমাকে জড়াতে পারতাম। কিন্তু আমি কিছুই নই। কতটা নিচ আমি। যে আমি তোমাকে আঘাত পর্যন্ত দিতে পারবোনা সে আমি তোমাকে সুখ চেনাচ্ছি। তোমাকে তো আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁতেও পারবো না। হয়তো আমি তোমার ইশারা পাবার জন্য খুঁজে খুঁজে তোমার আঘাত আবিষ্কার করছিলাম। এমনকি আমি এতটাই তুচ্ছ, ক্ষুদ্র যে তোমার জন্য আঘাত সৃষ্টি করতেও আমি পারবো না।