মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীরের গদ্যকাব্য
এক
মেঘেরাও ভুল করে অফ সিজনে ঝরায় উত্তাল জোছনা, মাতোয়ারা বালিকা হয়ে ওঠে উচ্ছল রমণী।
পাহাড় কোটরে বিষণ্ণ বিলাপে ক্যাকটাস ফোটায় ফুল। ক্যাকটাসের সব কষ্ট বুকে পুষে মরুকবি আন্ওয়ারুল হৃদয়মর্মরে চলেছে লিখে বিরহী কাসিদা।
বালিকা তুমি হয়ে গেছো রমণী, দিয়ে যাও তোমার ছোঁয়া, বিরহী কাসিদা উড়ে যাক আজ আনন্দ পায়রা হয়ে।
দুই
হলফ করে বলছি, স্বয়ং প্লেটোও হেরে যেতেন যুবাকালে তোমার দেখা পেলে; রিপাবলিকে কবি ও কবিতা বাতিলের স্পর্ধা না দেখিয়ে প্রেমাচ্ছন্নে তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে একের পর এক লিখে যেতেন অমর কাব্যগাঁথা।
তুমি জাদু জানো হে নারী, অবেলাতেও মিউ মিউ করছে আমার সকল লজিক।
হেরে গেছি প্রমীলার কাছে। তাতে কী! শেষটায় আমিই জয়ী।
তিন
ছায়াপথে ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ দেখা জীবনানন্দকে শুধোই আমি, “বনলতা সেনে কী বলতে চেয়েছিলেন কবি, বোঝাবেন একটু?”
ধন্দে পড়ে যান রূপসী বাংলার কবি, “আমিই কি রচেছিলাম বনলতা সেন! এই আমি কি সেই আমি!”
প্রশ্নবোধক আমাকে দেখে কবি বলে ওঠেন, “কবিতা লিখেই কবি মরে যায়, জন্মান্তরে ফিরে আসে অন্য অবয়বে।”
চার
পাখিদের আমি ঈর্ষা করি। ওদের কোন রাষ্ট্র নেই, নেই সংবিধানের বালাই। পাখিদের কিতাব নেই, ধর্ম নিয়ে ওরা ভাববে কেন! আনন্দ খুঁটে খুঁটে ওরা দেয় জীবন পাড়ি।
ডানাহীন এক পাখির নাম লালন। তার কোন কিতাব ছিল না, ছিল কি? গানে গানে দেহাতি লালন হেঁটে চলে, আমি আজো দেখি। আমরা কবে লালন হব?
পাঁচ
স্টেফান হকিংস যাহাই বলুক, গাঁজায় দম দিয়ে সময় নিশ্চিত ঝিমু্চ্ছে, ঘূর্ণয়মান গ্লোবে নিবদ্ধ ঈশ্বরচোখ, ক্লিশে দৃশ্যপটে ঘাটে ঘাটে রাবণ-উল্লাস।
জেগে ওঠা নিপীড়িত মানুষ, ফেরাউন গোষ্ঠীর পতন, মুসার মাজেজা স্মৃতিতে প্রজ্জল। ঐশি মাজেজায় ভরসা নেই। লালপতাকাও তো দেখিয়েছিলো কেরামতি, প্রলেতারিয়েতরাও পেয়েছিল জোছনার ছোঁয়া। জয়তুঃ নাস্তিক লেনিন, মাও।
বিশ্বায়ায়নে ওবামা হাসি, আড়ালে ভাম্পায়ার, কী চতুরই না ফ্রি মার্কেট ইকোনমি।
অপেক্ষায় আর একটি বিগব্যাং, জেগে উঠবেই প্রজন্ম, এ যে ভবিতব্য!