আদিত্য নজরুল – এর দুটি কবিতা

By Published On: May 10, 2021

ইন্দ্রজাল

সুঁই সুতো মিলে সম্বন্ধ পেতেছে…
এই সুযোগে দাদীমা
কাঁথার আর্তচিৎকার জোড়া দিয়ে দিয়ে
বুনছেন হস্তশিল্প;
অভিজ্ঞতা ও বয়সে দাদীর হাসি
পালপাড়ার ভাঙ্গা মন্দিরের দ্যুতি ছাড়ায় !

নকশী কাঁথায়
সূর্য উদয়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে
সারাদিন কেটে যেতো…

নদী, গ্রাম, ফুল-পাখি আঁকা নকশী কাঁথার বুকে
এক খন্ড শস্য ভুমি নেই দেখে
মনে পড়ে যেতো পাঠ্য পুস্তকের
বর্গাচাষি গণী মিয়া’র কথা !

সুঁই এবং সুতোর সম্বন্ধ নিয়ে
কোনোই কৌতুহল ছিলো না
শুধু ভাবতাম মানুষের মুখ আঁকেন না কেনো দাদী !

কৌতুহলে একদিন
বলেই ফেললাম
ফুটফুটে মানুষের মুখ আঁকোতো দাদী।

বট বৃক্ষের ছায়ার মতো
ঠান্ডা গলায় বললো দাদী
সহজে মানুষ চেনা যায় না ! -আঁকবো কি করে ?

রহস্য

বুকের ভেতর বাস করে
একটি ধূর্ত শেয়াল এবং একটি বোকা সিংহ..

দৌঁড়ঝাপ দেয় এদিক- ওদিক
গুটি কয়েক খরগোশ
খুঁটে খুঁটে খায় ধৈর্য কয়েকটি চড়ুই পাখি।

বুকের অরণ্যে
পরিপক্ক মৃত্যু ও জীবন মিলেমিশে বাস করে।

হঠাৎ একদিন
পাশের গ্রামের বন থেকে
একটি হরিণী রোদের মতো দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে
সোজা বুকের ভেতর ঢুকে গেলো…

তারপর থেকে
অরণ্য জীবনের কথা আমি কাউকে বলি নি।

Share:
0 0 votes
Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

Nandik Shop