‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধন

By Published On: September 23, 2021

পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠন হয়ে গেলো ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অভাবনীয় সুন্দর এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সারা বাংলাদেশের দেশের ১০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী/পাঠক বঙ্গবন্ধুর রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি পাঠ করে লিখিতভাবে পাঠ-উত্তর প্রতিক্রিয়া/অভিমত ব্যক্ত করার মাধ্যমে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।

মুজিব শতবর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করেছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। শত গ্রন্থাগারের তিন মাসের এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ধারণাপত্র পাঠ সহ স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।

উদ্বোধনকালে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বইয়ের আবেদন চিরন্তন। ই-বুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক হতে পারে। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও সহানুভূতি-সহমর্মিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি বই পড়াশোনা করেন, তারা দ্রুত, সুন্দর ও গোছানোভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোয় তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই। সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে, যেটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি হতে তথ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। তিনি এ সময় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১০০টি পাঠাগারের প্রত্যেকটিকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।

গতকাল পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারের তিন মাসের এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। উদ্বোধনকালে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বইয়ের আবেদন চিরন্তন।

এই উদ্যোগের সাথে আছেন, অধ্যাপক ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম সহ কথাসহিত্যক সেলিনা হোসেন।

Share:
0 0 votes
Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

Nandik Shop